Chattogram Maa-O-Shishu Hospital
চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল
হাসপাতালের ঠিকানা ও তথ্য
ঠিকানা: আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।
গুরুত্বপূর্ণ: অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগের পূর্বে ডাক্তারের উপস্থিতি ও সময়সূচী নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার অনুসন্ধানের সাথে মিলে এমন কোনো ডাক্তারের তথ্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল (CMOSH)
একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের মহীরুহে রূপান্তরের গল্প
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল (CMOSH) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। এটি শুধু একটি হাসপাতাল নয়, বরং একটি অলাভজনক, আধা-দাতব্য মানবিক উদ্যোগ যা লক্ষ লক্ষ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ১৯৭৯ সালে “আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ” উপলক্ষে কয়েকজন সমাজসেবী ও চিকিৎসকের হাত ধরে “চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল” নামে এর যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ১০টি শয্যা নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আজ ৮৫০-এর বেশি শয্যার একটি সুবিশাল, বহু-বিভাগীয় টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। যদিও এর নাম মা ও শিশুর কথা বলে, হাসপাতালটির সেবার পরিধি অনেক বিস্তৃত। এখানে শিশু ও প্রসূতি বিভাগের পাশাপাশি কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, অর্থোপেডিকস এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটসহ প্রায় সকল বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে। এর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটগুলো, যেমন— NICU, PICU, এবং CCU, এই অঞ্চলের জটিল রোগীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি, এটি একটি বৃহৎ শিক্ষা কেন্দ্রেও রূপান্তরিত হয়েছে। এর অধীনে রয়েছে চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ (CMOSHMC), একটি নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং একটি নতুন ডেন্টাল ইউনিট। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের জন্য দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করছে এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেম গঠন করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই হাসপাতাল। স্বল্পমূল্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা প্রদান এবং কোভিড-১৯ মহামারীর মতো জাতীয় সংকটে এর সাহসী ভূমিকা প্রতিষ্ঠানটিকে গণমানুষের কাছে এক আস্থার নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। सामुदायिक মালিকানা ও টেকসই অর্থায়ন মডেলের উপর ভিত্তি করে এটি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতে এক অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
১৯৭৯
প্রতিষ্ঠা সাল
৮৫০+
শয্যা সংখ্যা
১০,০০০+
আজীবন সদস্য
৪+
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঐতিহাসিক পথচলা: একটি টাইমলাইন
১৯৭৯: মানবিক উদ্যোগের শুরু
আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষে “চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল” নামে যাত্রা শুরু।
১৯৯৪: যুগান্তকারী পরিবর্তন
প্রসূতি বিভাগ যুক্ত হয় এবং নাম পরিবর্তিত হয়ে “চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল” হয়।
২০০৫: মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশ এবং চট্টগ্রাম মা-ও-শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ চালু।
বর্তমান: মেডিকেল ভিলেজ
৮৫০+ শয্যার টারশিয়ারি হাসপাতাল এবং একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স।
চিকিৎসা সেবার পরিধি
এই হাসপাতালটি শুধু মা ও শিশুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রায় সকল ধরণের রোগের জন্য বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে। নিচে বিভাগগুলোর একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো।
বিভাগীয় সেবা বিন্যাস
হাসপাতালের বিভাগগুলোকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়, যেখানে মেডিসিন ও সার্জারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্রমবিকাশ (MBBS)
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও সক্ষমতার পরিচায়ক।
শিক্ষা থেকে সেবা: একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মডেল
হাসপাতালটি একটি অনন্য মডেল অনুসরণ করে যেখানে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হওয়া দক্ষ জনবল হাসপাতালেই সেবাদানে নিযুক্ত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(মেডিকেল, নার্সিং, ডেন্টাল)
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি
(ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান)
হাসপাতালে কর্মসংস্থান
(সেবার মান উন্নয়ন)
যোগাযোগ ও ঠিকানা
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম – ৪১০০, বাংলাদেশ
জরুরী হটলাইন: ৮৮০৯৬১০৮০০৯৯৯